বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে সরব মালয়েশিয়া প্রবাসীরা

By Admin | Published on January 27, 2025


বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে সরব মালয়েশিয়া প্রবাসীরা



মালয়েশিয়া থেকে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়টি এখন প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া

ফেলেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে প্রবাসীদের ভূমিকা দিন দিন আরও দায়িত্বশীল হয়ে উঠছে। বিশেষত, মালয়েশিয়ার বিভিন্ন রেমিট্যান্স হাউজ ও এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে প্রবাসীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গত পাঁচ মাসে মালয়েশিয়া থেকে বৈধপথে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ২৬ শতাংশ বেশি। বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণের ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া, আগে যেখানে সপ্তম স্থানে ছিল, এখন তা চতুর্থ অবস্থানে উন্নীত হয়েছে।
এনবিএল রেমিট্যান্স হাউজের তথ্য অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ার প্রবাসীরা এই একটি প্রতিষ্ঠান থেকেই দেশে পাঠিয়েছেন ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকার সমান। এই বৃদ্ধি প্রবাসীদের নতুন সরকারের প্রতি আস্থা এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের ইতিবাচক মনোভাবের প্রতিফলন।
বর্তমানে প্রবাসীরা বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা পাচ্ছেন, যা অনেকের মতে পর্যাপ্ত নয়। তাদের প্রস্তাব, এই প্রণোদনার হার ৫ শতাংশে উন্নীত করা হলে বৈধপথে রেমিট্যান্সের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। তাদের যুক্তি হলো, সরকার যদি অন্যান্য খাতে ১০ শতাংশ হারে ভর্তুকি প্রদান করতে পারে, তবে প্রবাসীদের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ প্রণোদনা প্রদান করলেও সরকারের আর্থিক ক্ষতি হবে না। বরং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।
প্রবাসীরা মনে করেন, বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে সরকার যদি আরও কার্যকর নীতি ও প্রণোদনা প্রদান করে, তবে তারা আরও বেশি পরিমাণে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী হবেন। তারা দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন যে, তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশের উন্নয়নে কাজে লাগবে।

প্রবাসীদের দাবি-দাওয়া গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে সরকারকে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। প্রবাসীদের সম্মান ও স্বীকৃতি প্রদান এবং রেমিট্যান্স প্রেরণে উৎসাহিত করার জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
নতুন সরকারের অধীনে একটি শক্তিশালী ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে প্রবাসীদের অবদান অপরিসীম। বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণ বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি আরও স্থিতিশীল এবং রিজার্ভ আরও মজবুত হবে। সরকার ও প্রবাসীদের মধ্যে সমন্বয় এবং সহযোগিতা দেশের উন্নয়নে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।

শেয়ার করুন