বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ডালিমের বক্তব্য: স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ইতিহাস নিয়ে তাঁর অভিমত।

By Admin | Published on January 6, 2025



বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ডালিম বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও এর পরবর্তী ইতিহাস নিয়ে নিজের অভিমত প্রকাশ করেছেন। তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং ভারতের ভূমিকা নিয়ে কিছু বিতর্কিত তথ্য ও মতামত। নিচে তাঁর বক্তব্যের প্রধান পয়েন্টগুলো বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হলো:



১. শেখ মুজিব হ'ত্যায় জিয়াউর রহমানের ভূমিকা
মেজর ডালিমের দাবি অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হ'ত্যায় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সরাসরি নয়, বরং পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।

২. স্বাধীনতা ঘোষণায় মেজর জিয়ার প্রভাব
তাঁর মতে, মুজিবের ভাষণের তুলনায় মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণাই বাংলাদেশের মানুষকে একত্রিত করেছিল। এমনকি ডালিম নিজেও জিয়ার ডাকে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ফিরে এসে যুদ্ধে যোগ দেন।

৩. শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক
মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রচলিত তথ্যকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, শহীদের সংখ্যা ৩০ লক্ষ নয় বরং ৩ লক্ষ।

৪. ধ'র্ষণ সংক্রান্ত তথ্য
ডালিমের মতে, মুক্তিযুদ্ধকালে ২ লক্ষ নারী ধ'র্ষণ শিকার হননি। তাঁর অভিজ্ঞতায়, তিনি মাত্র দুইজন ধ'র্ষি'তা নারীকে পেয়েছিলেন।

৫. শেখ মুজিবের রাজনৈতিক লক্ষ্য
তিনি দাবি করেন, শেখ মুজিব কখনোই স্বাধীন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন না। বরং তাঁর লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া।

৬. ভারতের ভূমিকা
মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহায়তা সম্পর্কে তিনি বলেন, ভারত সহযোগিতা করেছিল শুধুমাত্র বাংলাদেশকে নিজেদের প্রদেশ বানানোর উদ্দেশ্যে।

৭. শেখ মুজিবের আত্মসমর্পণ
ডালিম বলেন, শেখ মুজিব নিজে ধরা দিয়ে পাকিস্তানি আর্মির কাছে তাঁর পরিবারের দায়িত্ব তুলে দেন।

৮. আগস্ট বিপ্লব ও জিয়ার ভূমিকা
কোরআন শপথ করে জিয়া আগস্ট বিপ্লবীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে, ক্ষমতা সুসংহত করতে তিনি বিপ্লবীদের মধ্যে ৪,০০০ জনকে মৃ'ত্যু'দণ্ড দেন।

৯. বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড
ডালিমের দাবি, বুদ্ধিজীবীদের হ'ত্যা করেছিলেন ভারতীয় বাহিনী।

১০. ভারতের লুটপাট
স্বাধীনতার পর ভারত বাংলাদেশ থেকে ১৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ লুট করে নিয়ে যায় বলে তিনি উল্লেখ করেন। বাঁধা দিলে শেখ মুজিব মেজর জলিলকে গ্রেপ্তার করেন।

১১. জহির রায়হান ও শহিদুল্লাহ কায়সারের হত্যাকাণ্ড
মেজর ডালিমের মতে, এ দুইজনকে হ'ত্যা করেছিলেন শেখ মুজিব।

১২. মুক্তিযুদ্ধের সময় নারীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক
মুক্তিযুদ্ধে ২ লক্ষ নারী ধ'র্ষণের শিকার হননি, বরং এই সংখ্যা ছিল প্রচারিত মিথ্যা বলে তিনি দাবি করেন।

১৩. সিরাজ সিকদারের মৃত্যু
তিনি বলেন, বিপ্লবী সিরাজ সিকদারকে পরিকল্পিতভাবে হ'ত্যা করেন মুজিব।

১৪. শেখ মুজিবের কথার অমিল
মুজিবের কথা ও কাজের মধ্যে কোনো মিল ছিল না বলে মন্তব্য করেন ডালিম।

১৫. মুজিব হত্যার পরের প্রতিক্রিয়া
শেখ মুজিবুর রহমানের হ'ত্যার পর জনগণ আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছিলেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

১৬. মেজর ডালিমের স্ত্রী ও চিকিৎসা
ডালিম অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রীকে চিকিৎসা নিতে দেয়নি শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া।

১৭. মুজিব বাহিনীর কর্মকাণ্ড
তিনি দাবি করেন, মুজিব বাহিনী সীমাহীন লুটপাট, হ'ত্যা, ধ'র্ষণ ও ডাকাতি চালিয়েছিল। ফলে জনগণ শেখ মুজিবকে "ফেরাউন" বলতে শুরু করে।

১৮. মুজিবের মৃত্যু নিয়ে মন্তব্য
মুজিব কোনো হত্যাকাণ্ডের শিকার হননি; বরং অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।

১৯. জাতীয় সংগীত নিয়ে অভিযোগ
ভারতের চাপে রবীন্দ্রসংগীতকে জাতীয় সংগীত করা হয়েছে বলে তাঁর বক্তব্য।

২০. শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতেন না
ডালিমের মতে, শেখ মুজিব জানতেন না যে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলছে।



২১. উপসংহার
মেজর ডালিমের বক্তব্যগুলো অত্যন্ত বিতর্কিত এবং ঐতিহাসিক সত্যতার নিরিখে যাচাই করা প্রয়োজন। তাঁর অভিমত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাসের প্রচলিত ধারণার সঙ্গে সম্পূর্ণ বিপরীত। এ ধরনের মন্তব্য দেশের ঐতিহাসিক গবেষণার জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে, তবে এটি নিয়ে গভীর আলোচনা এবং প্রমাণভিত্তিক বিশ্লেষণ জরুরি।

অনেকেই ভেবেছিল মেজর ডালিম হয়তোবা আর জীবিত নেই তবে উনি এভাবে লাইভে এসে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে চমকে দিয়েছে। 
একই সংক্ষেপে মেজর ডালিম শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছে সেটা বাংলাদেশের অর্ধেকের বেশি জনগণ বিশ্বাস করছে এবং অনেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বৈরাশাসক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। 
বাংলাদেশের জনগণ মেট্রো ডালিমের কথা অনুযায়ী আগে থেকেই ভাবতো শেখ হাসিনা এবং তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান মূলত ভারতের দাসত্ব করত তারা সব সময় চাইতো ভারতের কাছে বাংলাদেশকে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য যার কারণেই মূলত ডালিম এবং তাদের সহকারীরা মিলে শেখ মুজিবুর রহমানের এই ঘটনায় জড়িত

তারিখ: জানুয়ারি ০৫, ২০২৫
লেখক: মালয়েশিয়া প্রবাসী

শেয়ার করুন