মালয়েশিয়ায় নারী কর্মী নিয়োগে প্রতারণা, হাইকমিশনের সতর্কতা

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি নারী কর্মী নিয়োগে প্রতারণার ফাঁদ, হাইকমিশনের সতর্কবার্তা
মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশি নারী কর্মী নিয়োগের নামে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ চক্র ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেক নারীকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর নামে আর্থিকভাবে প্রতারিত করছে। এর ফলে অনেক বাংলাদেশি নারী আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের সতর্কবার্তা
বাংলাদেশ থেকে নারী কর্মী নিয়োগের বিষয়ে মালয়েশিয়ার সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সরকারের কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (MoU) নেই। কিন্তু কিছু অসাধু দালাল চক্র ট্যুরিস্ট ভিসা কিংবা অন্যান্য ভিসার মাধ্যমে নারী কর্মীদের মালয়েশিয়ায় এনে বিপাকে ফেলছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এক আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্রতারণার বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক করেছে। হাইকমিশন জানিয়েছে, কিছু অসাধু চক্র নারী কর্মীদের জন্য বৈধ কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে এবং অবৈধ উপায়ে তাদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করিয়ে বিপদে ফেলছে।

প্রতারকদের চক্রান্ত ও সম্ভাব্য বিপদ
এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু বাংলাদেশি নারী কর্মীদের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং এটি বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার কূটনৈতিক ও শ্রমবাজার সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতারিত নারীরা বৈধ কাজের সুযোগ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হন, যা আর্থিক ও মানসিকভাবে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করে।
বাংলাদেশ হাইকমিশন সবাইকে সতর্ক করে জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত নারী কর্মীদের মালয়েশিয়ায় আসা থেকে বিরত থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সরকার এবং মালয়েশিয়ার সরকারের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ নারী কর্মীদের মালয়েশিয়ায় আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে, সম্ভাব্য কর্মীরা যেন দালাল বা প্রতারক চক্রের প্রলোভনে পা না দেন, সে বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় নারী কর্মী নিয়োগের বিষয়ে কোনো সরকারিভাবে চুক্তি নেই।
প্রতারক চক্র ট্যুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে নারীদের নিয়ে প্রতারণা করছে। প্রতারণার ফলে বাংলাদেশি নারী কর্মীরা আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিক চুক্তি না করা পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় নারী কর্মী পাঠানো বন্ধ রয়েছে।
দালালদের প্রলোভনে পা না দিয়ে সঠিক তথ্য যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এই প্রতারণার ফাঁদ থেকে মুক্ত থাকতে এবং নিরাপদ অভিবাসনের জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুসরণ করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।