
মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (KLIA) ১২ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের এই ঘটনায় আটক করে।
মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন বিভাগের সূত্রে জানা যায়, আটককৃত ব্যক্তিরা নিজেদের মালয়েশিয়ান ফিশারিজ অ্যাকাডেমির প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে পরিচয় দেন। তারা মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সময় একটি আমন্ত্রণপত্র প্রদর্শন করেন, যেখানে তাদের প্রশিক্ষণার্থীর পরিচয় উল্লেখ ছিল। কিন্তু আমন্ত্রণপত্রটি যাচাই করে সেটি ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়।
প্রবেশকালে আটক বাংলাদেশিরা আরও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য মালয়েশিয়ান ফিশারিজ অ্যাকাডেমির লোগো সম্বলিত বিশেষ পোশাক পরিধান করেছিলেন। তাদের এই কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মালয়েশিয়ান ফিশারিজ অ্যাকাডেমি তাৎক্ষণিকভাবে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে।
ফিশারিজ অ্যাকাডেমির বিবৃতি
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ফিশারিজ অ্যাকাডেমি তাদের প্রকাশিত বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশি কোনো ব্যক্তিকে তারা প্রশিক্ষণের জন্য আমন্ত্রণ জানায়নি। এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে তারা ‘ন্যাক্কারজনক’ বলে অভিহিত করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এই ঘটনা শুধু ফিশারিজ বিভাগের ভাবমূর্তিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেনি, বরং এটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সততা ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমাদের নাম ও লোগো ব্যবহার করে এমন অবৈধ কর্মকাণ্ড
কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রশংসা
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফিশারিজ অ্যাকাডেমি জানায়, “আমরা ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে ইমিগ্রেশন বিভাগসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের লক্ষ্য হলো এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা।”
ফিশারিজ অ্যাকাডেমি তাদের বিবৃতিতে জনসাধারণকে অনুরোধ জানিয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি তাদের নামে বা লোগো ব্যবহার করে এমন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়, তবে তা যেন সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের এই উদ্যোগ প্রশংসিত হচ্ছে। তারা তাদের তৎপরতা এবং সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেশের নিরাপত্তা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রেখেছে।