মালয়েশিয়ায় ১০২ মিয়ানমারের নাগরিক ফেরত পাঠানো

মালয়েশিয়া সরকার অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে, দেশটি সম্প্রতি ১০২ জন মিয়ানমারের নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। এই প্রত্যাবাসন কার্যক্রমটি পরিচালিত হয় ৮ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে পেরাক রাজ্যের ইমিগ্রেশন বিভাগের মাধ্যমে।
মিয়ানমারের ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন
পুরুষ: ৭১ জন
নারী: ২৫ জন
শিশু: ৬ জন
বয়স: ১ থেকে ৬০ বছর
এই অভিবাসীদের ল্যাংকাপ ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছিল। পরে, কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (KLIA) থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে তাদের নিজ দেশে পাঠানো হয়।
ফেরত পাঠানোর আগে, এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে অনেকেই কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড ভোগ করেছেন। ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি, তাদের ভবিষ্যতে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
মালয়েশিয়া দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে কাজ করছে। দেশটির সরকার বলছে, অভিবাসন আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
অভিবাসন বিভাগ নিয়মিত অভিযান চালিয়ে অবৈধ অভিবাসীদের সনাক্ত করে।
দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ধরনের প্রত্যাবাসন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই পদক্ষেপে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। তবে সরকার বলছে, যারা বৈধ কাগজপত্রসহ বসবাস করছেন, তাদের কোনো সমস্যা হবে না।
মিয়ানমারের সঙ্গে সহযোগিতা
মিয়ানমারের দূতাবাসের সহযোগিতায় মালয়েশিয়া সরকার এই কার্যক্রমটি পরিচালনা করেছে। ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই করার পরেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার মূল লক্ষ্য হলো দেশটির অভিবাসন ব্যবস্থাপনা উন্নত করা এবং অবৈধ অভিবাসনের ফলে সৃষ্ট সা কি মাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো দূর করা।
এই ঘটনাটি মালয়েশিয়ার অভিবাসন নীতির কঠোর বাস্তবায়নের উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সরকার ভবিষ্যতেও এ ধরনের পদক্ষেপ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।